নায়লার মাথাব্যথা হলেই একটা প্যারাসিটামল খেতে হয়, নাহলে ব্যথা কমে না। ছোটখাটো ইসুতে ডাক্তারের কাছে যেতে নারাজ সে। দুই বাচ্চার হালকা জ্বর হলেও এন্টিবায়োটিক সিরাপ এনে খাইয়ে ফেলে। তার যুক্তি, জ্বরকে কোনোভাবেই পাত্তা না দিতে আগেই এন্টিবায়োটিক দিয়ে দেয়া ভালো। আর ডাক্তারের কাছে গেলে তো এন্টিবায়োটিকই দিবে!
প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ, সেতো কমবেশি আমরা সবাই-ই খাই। কিন্তু তাই বলে বাচ্চাদের ওষুধ, এন্টিবায়োটিক? সত্যি বলতে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া একেবারেই ঠিক না। কিছুক্ষেত্রে এর ফলাফল মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ছোটখাটো স্বাস্থ্যগত সমস্যা সে যাই হোক না কেন, ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ একজন ডাক্তারই বলতে পারবেন ঠিক কোন ওষুধটি কতটুকু পরিমাণে গ্রহণ করলে কোনোরকম অসুবিধা হবে না।
কিছু না জেনে না বুঝে এন্টিবায়োটিক খেলে পরবর্তীতে সেই এন্টিবায়োটিকগুলো আর শরীরে কাজ করে না। তাই বড় কোনো অসুখ হলে তখন অনেক বেশি শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক দিতে হয় রোগীকে যা থেকে রিকভারি করতেও রোগীকে বেগ পেতে হয়।
গুগল সার্চ করে, ফার্মেসি থেকে বা এর-ওর পরামর্শে ওষুধ সেবন বন্ধ করুন। অবহেলায় নিজেকে বা পরিবারের প্রিয়জনদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিবেন না।