আজাদ সাহেবের প্রতিদিন ঘুম ভাঙে প্রচণ্ড ঘাড়ব্যথা নিয়ে, ঘুমটাও যেন ঠিক পুরো হয়নি। রাতে ঘুমাতে যান সময়ও সহজে আসতে চায় না ঘুম। ভুগছেন প্রায় মাসখানেক। ডাক্তারের কাছে গেলেন এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে। গিয়ে যা শুনলেন প্রায় অবিশ্বাস্য!
তিনি যা ভেবেছিলেন, উচ্চ রক্তচাপ, স্পনডেলাইসিস, ডায়বেটিস আরও কত কী! কিন্তু এসবের কিছুই নয়। আসল শত্রু বালিশ। বালিশ পুরাতন হয়ে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে গেছে, সেদিকে খেয়ালই করেননি। আর ভুল বালিশে শোয়ার ফলে ঘুম ভালো হচ্ছে না, আবার ঘাড়েও ব্যথা হচ্ছে।
তাই প্রিয় পাঠক, ঘাড়ের ব্যথার উপশমে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে বালিশ চেক করে দেখুন। বালিশ পুরাতন হলে নতুন বালিশ কিনে আনুন। সবচেয়ে ভালো হয় শিমুল তুলা দিয়ে বালিশ বানিয়ে নিলে। এছাড়া কিছু মেডিকেটেড বালিশও কিনতে পারবেন বড় ফার্মেসি থেকে।
এছাড়াও যা খেয়াল করবেন
- মাসে একবার বালিশ রোদে দেবেন
- মাসে অন্তত দু’বার কভার পাল্টাবেন
- মাথায় তেল দিলে ঘুমের সময় বালিশে তোয়ালে দিয়ে নেবেন
- ভেজাচুলে বালিশে শোবেন না
আরামে ঘুমাতে একটু কষ্ট করতে হবে, তবে এতে ঘাড়ব্যথার কষ্টের চেয়ে কষ্ট কম!